MS WORD BA PDF A NITE CHAI LE
100 TK AI NUMBAR E BKASH KORUN
01912729202 TAR POR CALL DIN
NATIONAL UNIVASITY TRAM PAPER FROMATE,TRAM PAPER,KNC TRAM PAPER,DHAKA COLLEGE TRAM PAPER,TRAM PAPER PHILOSOPHY,TRAM PAPER
Uvg© †ccvi
প্রয়োগবাদ
ZË¡veavqK
mvweK
ZË¡veavqK
‡gvnv¤§` Avwbmyi ingvb ‡Rvniv
‡eMg
cÖfvlK wefvMxq প্রধান
`k©b wefvM `k©b
wefvM
কবি নজরুল সরকারী কলেজ কবি নজরুল সরকারী কলেজ
Dc¯’vcbvq
মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান
(gv÷v©m †kl ce©)
†ivj: 1701007
wkÿvel©:
2013-2014
`k©b wefvM
কবি নজরুল সরকারী কলেজ
Rgv`v‡bi ZvwiL t
.........................2016Bs
‡NvlYv cÎ
মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান
(gv÷v©m †kl ce©)
†ivj:
wkÿvel©:
2013-2014
`k©b wefvM
কবি নজরুল
সরকারী কলেজ
Aby‡gv`b
cÎ
GB g‡g©
cÖZ¨qb Kiv hv‡”Q †h, (gv÷v©m †kl ce©)
e¨envwiK cix¶vi AvswkK cwic~i‡Ki Rb¨, মোহাম্মদ Dc¯’vcbvq প্রয়োগবাদ| wk‡ivbv‡g M‡elYv cÖwZ‡e`bwU
Avgv‡`i ZË¡veav‡b ¯’vcb K‡i‡Q| cÖwZ‡e`bwUi Zvi wk¶v Kvh©µ‡gi Ask wn‡m‡e m‡šÍvlRbK fv‡e m¤úbœ K‡i‡Q e‡j Avgv‡`i `„p
wek¦vm|
`k©b wefvM
কবি
নজরুল সরকারী কলেজ
K…ZÁZv
¯^xKvi
cÖ_‡g
gnvb Avj&øvnZvqvjvi wbKU nvRv‡iv ïKwiqv Av`vq KiwQ, whwb Avgv‡K Uvg© †ccvi
cÖ¯‘‡Zi ‡ZŠwdK `vb K‡i‡Qb| welqwU RvZxq wek¦we`¨vj‡qi bZzb wm‡jevm I bZzb cix¶v
c×wZi Av‡jv‡K (gv÷v©m †kl ce©)
QvÎ-QvÎx‡`i Rb¨ cÖYqb Kiv n‡q‡Q | Avwg wewfbœ cÎ-cwÎKv BZ¨vw`i mnvqZv wb‡qwQ|
wKš‘ †Kvb m~Î †_‡K ûeû bKj ev ms‡hvRb Kwiwb| D‡jøwLZ M‡elYv cÎwU Avwg wb‡Ri gZ
K‡i (Aek¨B Uvg© †ccvi cÖYq‡b bxwZ Abymi K‡i) Dc¯’vcbv K‡iwQ| weavq Gi ¯^KxqZv
i‡q‡Q| ‡h me eB‡qi mnvqZv ‡bqv n‡q‡Q †m me eB‡qi bvg I †jL‡Ki bvg Uvg© †ccvi
†k‡l mnvqK MÖš’cywćZ †`Iqv n‡q‡Q| Avwg Gme eB‡qi †jL‡Ki Kv‡QI A‡kl FYx|
Uvg© †ccviwU
wjL‡Z Avgv‡K mvnvh¨ I mn‡hvMxZv K‡i‡Qb
wefv‡Mi mKj wk¶K I wkw¶Kv|
m~PxcÎ
cÖ_g Aa¨vq
·
f‚wgKv
·
প্রয়োগবাদ
·
চার্লস সেন্ডারস
পার্স
·
উইলিয়াম জেমস
·
চার্লস সেন্ডারস পার্স
·
শিলার
·
ডিউই
wØZxq Aa¨vq
·
Empiricism Philosophy
Z„Zxq Aa¨vq
·
History of Empiricism
PZz_© Aa¨vq
·
জ্ঞানদর্শন
·
সংশয়বাদ
পঞ্চম Aa¨vq
- অর্থতও চার্লস এস পার্স
প্রয়োগবাদ
নিন্দুকরা বলে থাকেন মার্কিনীদের বিজ্ঞানে যতটা প্রভূত উন্নতি দর্শনে তার ছিটেফোঁটাও নেই। তবে নিন্দুকদের
উচিত জবাব দিতেই মার্কিনীদের মৌলিক দর্শন হল প্রয়োগবাদ। প্রয়োগবাদের ইংরেজি প্রতিশব্দ হল Pragmatism. বেশীর
ভাগ দর্শনই মানুষের জীবনের প্রয়োজনীয় প্রায়োগিক দিককে
উপেক্ষা করে জগত ও জীবনের উৎপত্তি ও বিকাশ, ঈশ্বর
ধর্ম সহ বিভিন্ন বিমূর্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। যদিও এই ধরণের বিমূর্ত বিষয়ের জ্ঞানের দরকার
রয়েছে কিন্তু তার থেকেও অনেক বেশী দরকার বাস্তব
জীবন সংক্রান্ত জ্ঞানের।
এই দর্শন অনুসারে নিছক তত্ত্বানুসন্ধান দর্শনের লক্ষ্য নয়, হ্যাঁ তত্ত্বানুসন্ধান আমরা করবো তবে এই অর্থে যে তা জীবনকে বুঝতে এবং জীবনের বাস্তব সমস্যাবলী মোকাবেলা করতে সহায়ক হবে। প্রয়োগবাদ অনুযায়ী যে তত্ত্ব নিছক বিমূর্ত, যার কোন কার্যকারিতা নেই, তা অহেতুক। যৌক্তিক দৃষ্টবাদ যেমন ইউরোপিয়ান দার্শনিকদের মতবাদ তেমনি প্রয়োগবাদকে বলা চলে আমেরিকার নিজস্ব দার্শনিক মতবাদ। একমাত্র ব্রিটিশ সমর্থক এফ. সি. এস শিলার ছাড়া এ মতের সব কজন প্রবক্তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধিবাসী। সি. এস. পার্স ছিলেন মার্কিন প্রয়োগবাদের প্রতিষ্ঠাতা এবং উইলিয়াম জেমস ও জন ডিউই এর দুজন বিশিষ্ট প্রবক্তা। নিম্নে এদের দর্শন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হল যা প্রয়োগবাদী দর্শনকে বুঝতে সহযোগিতা করবে।
এই দর্শন অনুসারে নিছক তত্ত্বানুসন্ধান দর্শনের লক্ষ্য নয়, হ্যাঁ তত্ত্বানুসন্ধান আমরা করবো তবে এই অর্থে যে তা জীবনকে বুঝতে এবং জীবনের বাস্তব সমস্যাবলী মোকাবেলা করতে সহায়ক হবে। প্রয়োগবাদ অনুযায়ী যে তত্ত্ব নিছক বিমূর্ত, যার কোন কার্যকারিতা নেই, তা অহেতুক। যৌক্তিক দৃষ্টবাদ যেমন ইউরোপিয়ান দার্শনিকদের মতবাদ তেমনি প্রয়োগবাদকে বলা চলে আমেরিকার নিজস্ব দার্শনিক মতবাদ। একমাত্র ব্রিটিশ সমর্থক এফ. সি. এস শিলার ছাড়া এ মতের সব কজন প্রবক্তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধিবাসী। সি. এস. পার্স ছিলেন মার্কিন প্রয়োগবাদের প্রতিষ্ঠাতা এবং উইলিয়াম জেমস ও জন ডিউই এর দুজন বিশিষ্ট প্রবক্তা। নিম্নে এদের দর্শন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হল যা প্রয়োগবাদী দর্শনকে বুঝতে সহযোগিতা করবে।
চার্লস
সেন্ডারস পার্স
চার্লস সেন্ডারস পার্সের হাতে প্রয়োগবাদের সূচনা হয়। তিনি গণিত, লজিক, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান ও দর্শনের ইতিহাসের উপরে শিক্ষা গ্রহন করেছিলেন। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা ছাড়াও দীর্ঘদিন সরকারী চাকুরীতে নিয়োজিত ছিলেন তিনি। প্রথম দিকে ভাববাদ এবং ঈশ্বর বিশ্বাস থাকলেও একটা পর্যায়ে তার আমূল পরিবর্তন ঘটে। সমসাময়িক দার্শনিকদের অধিকাংশের মতোই পার্সও ডারউইন এর বিবর্তনবাদ দ্বারা প্রবলভাবে প্রভাবিত হন।
পার্সের দার্শনিক রচনার খুব সামান্যই তার জীবদ্দশাতে প্রকাশিত হয়। ১৯৩১ থেকে ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তার রচনাবলী ৬ খণ্ডে প্রকাশিত হয়। এসব রচনা এতই মৌলিক ও উচ্চমানের ছিল যে, ক্রমশই পাঠকমহলে এগুলোর গুরুত্ব অধিক থেকে অধিকতর স্বীকৃতি লাভ করে।
পার্স প্রতীকী যুক্তিবিদ্যার ভিত্তি রচনায় অবদান রাখেন। তিনি পরানীতিবিদ্যা ও অধিবিদ্যার রূপরেখা প্রণয়ন করেন। এছাড়াও তিনি অর্থ ও তাৎপর্যের সমস্যা বলি বিশ্লেষণ করেন এবং মন সম্বন্ধে সাংকেতিক মতবাদ প্রচার করেন।
চার্লস সেন্ডারস পার্সের হাতে প্রয়োগবাদের সূচনা হয়। তিনি গণিত, লজিক, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান ও দর্শনের ইতিহাসের উপরে শিক্ষা গ্রহন করেছিলেন। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা ছাড়াও দীর্ঘদিন সরকারী চাকুরীতে নিয়োজিত ছিলেন তিনি। প্রথম দিকে ভাববাদ এবং ঈশ্বর বিশ্বাস থাকলেও একটা পর্যায়ে তার আমূল পরিবর্তন ঘটে। সমসাময়িক দার্শনিকদের অধিকাংশের মতোই পার্সও ডারউইন এর বিবর্তনবাদ দ্বারা প্রবলভাবে প্রভাবিত হন।
পার্সের দার্শনিক রচনার খুব সামান্যই তার জীবদ্দশাতে প্রকাশিত হয়। ১৯৩১ থেকে ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তার রচনাবলী ৬ খণ্ডে প্রকাশিত হয়। এসব রচনা এতই মৌলিক ও উচ্চমানের ছিল যে, ক্রমশই পাঠকমহলে এগুলোর গুরুত্ব অধিক থেকে অধিকতর স্বীকৃতি লাভ করে।
পার্স প্রতীকী যুক্তিবিদ্যার ভিত্তি রচনায় অবদান রাখেন। তিনি পরানীতিবিদ্যা ও অধিবিদ্যার রূপরেখা প্রণয়ন করেন। এছাড়াও তিনি অর্থ ও তাৎপর্যের সমস্যা বলি বিশ্লেষণ করেন এবং মন সম্বন্ধে সাংকেতিক মতবাদ প্রচার করেন।
উইলিয়াম জেমস
প্রয়োগবাদকে একটি সুস্পষ্ট মার্কিন মত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এবং বিশ শতকের প্রথমার্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ দার্শনিক আন্দোলনে পরিনত করেন উইলিয়াম জেমস (১৮৪২-১৯১০)।
জেমস আমেরিকায় পরীক্ষণমূলক মনোবিদ্যার জনক হিসেবে পরিচিত। তিনি দর্শন ছাড়াও চিকিৎসাশাস্ত্র, শরীরবিদ্যা ও মনোবিদ্যায় শিক্ষা লাভ করেন। ১৮৮০ থেকে ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন।
জেমস পার্সের প্রয়োগবাদী অর্থতত্ত্বকে সম্প্রসারিত করে সত্যতাতত্ত্বে পরিনত করেন। মৌলিক অভিজ্ঞতাবাদ নামক নতুন এক ধরণের অভিজ্ঞতাবাদের প্রবর্তন করেন। হেগেল ও ব্রাডলি প্রমুখ ভাববাদীদের মতের বিরোধিতাও তিনি করেন। প্রয়োগবাদ সম্পর্কে জেমস বলেন, বিমূর্ত তত্ত্বকেন্দ্রিক ভাববিলাস থেকে বাস্তব পরিস্থিতি ও তথ্যাবলির দিকে দৃষ্টি ফিরিয়ে আনার মানুশিকতাই প্রয়োগবাদ।
শিলারঃ
প্রয়োগবাদের একমাত্র ব্রিটিশ প্রতিনিধি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এফ. সি. এস শিলার (১৮৬৪-১৯৩৭) জেমসের অধিকাংশ সিদ্ধান্তের সাথে একমত ছিলেন। তিনি মনবিষয়ক গবেষণায় অনেক বেশী আগ্রহী ছিলেন। জেমসের ন্যায় তিনিও একজন মৌলিক অভিজ্ঞতাবাদী ছিলেন।
ডিউইঃ
প্রয়োগবাদের পরিপক্বতা লাভ করে কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন ডিউইর (১৮৫৯-১৯৫২) চিন্তা ও রচনায়। ডিউইর দর্শন ছিল প্রধানত নৈতিক দর্শন। তার দর্শনে সব থেকে বেশী প্রভাব ছিল ডারউইনের। ধর্ম ও নৈতিকতা নিয়ে ডিউইর প্রয়োগবাদী দর্শন অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ যা নিম্নে আলোচনা করছিঃ
ডিউইর মতে ধর্ম আবেগ নির্ভর, আবেগাত্তক প্রয়োজন নিতান্তই ব্যাক্তিগত। এরা সংখ্যায় বিপুল ও বিভিন্নমুখী। ব্যাক্তিগত ধর্মীয় অভিজ্ঞতা এতো বিচিত্র যে সব মানুষ এদের অভিন্নভাবে গ্রহন করে না। ঈশ্বর সম্পর্কে যেসব পরস্পর বিরোধী ধারণা আছে বিভিন্ন ধর্মে তা যদি ঈশ্বর থাকতেনও তাহলেও অবাক হতেন বলে মনে করেন ডিউই। ধর্মীয় বিশ্বাস একান্তই ব্যাক্তিগত ব্যাপার এবং কোন ধর্মীয় সত্যকে সমাজের সব মানুষের পক্ষে কল্যাণকর বলে প্রমান করা যায়না।
প্রয়োগবাদীরা অতীতের দর্শনকে অবজ্ঞা করে না, অতীতের দর্শন যে শুধু তত্ত্ব নির্ভর তাদের দর্শন একমাত্র ভালো তাও দাবী করেনা। তবে তাদের বক্তব্য এই যে, জীবনকে দর্শনে স্থান দিতে গিয়ে অতীতের অনেক দার্শনিক জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসারে নিছক তত্ত্বানুসন্ধানে আবিষ্ট হয়ে পরেন। যেমন প্লেটোর কথাই ধরা যাক, জীবনের দর্শন নিয়ে শুরু করলেও একটা পর্যায়ে তিনি বিভোর হয়ে গেলেন স্বর্গীয় কল্পিত রাজ্যের স্বপ্নে।
বাস্তবতার প্রতি প্রয়োগবাদ যে গুরুত্ব আরপ করেছে তারই স্বীকৃতিস্বরূপ কেউ কেউ এই দর্শনকে “ফিলসফি অফ ব্রেড এন্ড বাটার” বলে অভিহিত করেছেন। প্রয়োগবাদ দর্শনকে ভাববাদী কল্পনা থেকে মাটির পৃথিবীতে নামিয়ে আনার যে প্রশংসনীয় উদ্যোগ পালন করেছে তার মাধ্যমে দর্শনের প্রয়োগবাদ নিজের জায়গা করে নিয়েছে।
Definition of Empiricism
Why do you believe what you believe to be true? Is your knowledge based on your experience, or is your knowledge based on what others have told you? There are a number of philosophical beliefs about life and experience. Some philosophies suggest that knowledge must be proven, while other philosophies suggest that it is based on reasoning.Empiricism is an important part of the scientific method because theories and hypotheses must be observed and tested to be considered accurate. Empiricists tend to be skeptical that anything can be known for certain, and therefore they tend not to believe in dogmas or absolute truths. This is in contrast to rationalists, who tend to believe that the universe has absolute laws that can be determined and that the human mind is naturally predisposed to understanding certain truths.
Empiricism is a philosophical belief that states your knowledge of the world is based on your experiences, particularly your sensory experiences. According to empiricists, our learning is based on our observations and perception; knowledge is not possible without experience.
History of Empiricism
The concept
of a "tabula rasa" (or "clean slate") had been developed as
early as the 11th Century by the Persian philosopher Avicenna, who further
argued that knowledge is attained through empirical familiarity with objects in
this world, from which one abstracts universal concepts, which can then be
further developed through a syllogistic method of reasoning. The 12th Century
Arabic philosopher Abubacer (or Ibn Tufail: 1105 - 1185) demonstrated the
theory of tabula rasa as a thought experiment in which the mind of a feral
child develops from a clean slate to that of an adult, in complete isolation
from society on a desert island, through experience alone.Sir Francis Bacon can be considered an early Empiricist, through his popularization of an inductive methodology for scientific inquiry, which has since become known as the scientific method.
In the 17th and 18th Century, the members of the British Empiricism school John Locke, George Berkeley and David Hume were the primary exponents of Empiricism. They vigorously defended Empiricism against the Rationalism of Descartes, Leibniz and Spinoza.
The doctrine of Empiricism was first explicitly formulated by the British philosopher John Locke in the late 17th Century. Locke argued in his "An Essay Concerning Human Understanding" of 1690 that the mind is a tabula rasa on which experiences leave their marks, and therefore denied that humans have innate ideas or that anything is knowable without reference to experience. However, he also held that some knowledge (e.g. knowledge of God's existence) could be arrived at through intuition and reasoning alone.
The Irish philosopher Bishop George Berkeley, concerned that Locke's view opened a door that could lead to eventual Atheism, put forth in his "Treatise Concerning the Principles of Human Knowledge" of 1710 a different, very extreme form of Empiricism in which things only exist either as a result of their being perceived, or by virtue of the fact that they are an entity doing the perceiving. He argued that the continued existence of things results from the perception of God, regardless of whether there are humans around or not, and any order humans may see in nature is effectively just the handwriting of God. Berkeley's approach to Empiricism would later come to be called Subjective Idealism.
The Scottish philosopher David Hume brought to the Empiricist viewpoint an extreme Skepticism. He argued that all of human knowledge can be divided into two categories: relations of ideas (e.g. propositions involving some contingent observation of the world, such as "the sun rises in the East") and matters of fact (e.g. mathematical and logical propositions), and that ideas are derived from our "impressions" or sensations. In the face of this, he argued that even the most basic beliefs about the natural world, or even in the existence of the self, cannot be conclusively established by reason, but we accept them anyway because of their basis in instinct and custom.
John Stuart Mill, in the mid-19th Century, took Hume and Berkeley's reasoning a step further in maintaining that inductive reasoning is necessary for all meaningful knowledge (including mathematics), and that matter is merely the "permanent possibility of sensation" as he put it. This is an extreme form of Empiricism known as Phenomenalism (the the view that physical objects, properties and events are completely reducible to mental objects, properties and events).
In the late 19th Century and early 20th Century, several forms of Pragmatism arose, which attempted to integrate the apparently mutually-exclusive insights of Empiricism (experience-based thinking) and Rationalism (concept-based thinking). C. S. Peirce and William James (who coined the term "radical empiricism" to describe an offshoot of his form of Pragmatism) were particularly important in this endeavour.
The next step in the development of Empiricism was Logical Empiricism (or Logical Positivism), an early 20th Century attempt to synthesize the essential ideas of British Empiricism (a strong emphasis on sensory experience as the basis for knowledge) with certain insights from mathematical logic that had been developed by Gottlob Frege, Bertrand Russell and Ludwig Wittgenstein. This resulted in a kind of extreme Empiricism which held that any genuinely synthetic assertion must be reducible to an ultimate assertion (or set of ultimate assertions) which expresses direct observations or perceptions.
জ্ঞানদর্শন
বস্তুবাদ, ভাববাদ, সংশয়বাদ, অজ্ঞেয়বাদ, নাস্তিক্যবাদ, যুক্তিবাদ, অভিজ্ঞতাবাদ, মুক্তমনাঃ কোনটা কী?
বস্তুবাদঃ
দর্শনের সবচেয়ে প্রাথমিক মতবাদগুলোর একটি হল বস্তুবাদ। আমাদের চারপাশের জগতের যেসব অস্তিত্ত্ব আমরা পর্যবেক্ষণ করি বস্তুবাদ অনুযায়ী তারা যেকোন প্রকার চেতনা নিরপেক্ষ। যে দার্শনিক ধারায় ধরে নেওয়া হয় যে পৃথিবী বস্তুগত, তার অস্তিত্ব আছে বিষয়গতভাবে, চৈতন্যের বাইরে ও চৈতন্য-নিরপেক্ষভাবে, বস্তুই মুখ্য, তা কারো দ্বারা সৃষ্টি হয়নি এবং আছে বাহ্যিকভাবে, চৈতন্য, চিন্তন হল বস্তুরই একটি গুণধর্ম; পৃথিবী ও তার নিয়মগুলি জ্ঞেয়। বস্তুবাদ ভাববাদের বিরোধী এবং তাদের সংগ্রামই ওইতিহাসিক-দার্শনিক প্রক্রিয়ার আধেয়। বস্তুবাদ কথাটি ১৭শ শতাব্দীতে ব্যবহৃত হয়েছিল প্রধানত বস্তু সম্বন্ধে পদার্থবিদ্যাগত ধারণাগুলির অর্থে এবং ১৮শ শতাব্দীর গোড়ার দিক থেকে তা ব্যবহৃত হয়েছে দার্শনিক অর্থে, ভাববাদের বৈপরীত্যে।
ভাববাদঃ
ভাববাদী তত্ত্ব অনুসারে বস্তু জগতের সবকিছু পরমাত্মা কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়, অর্থাৎ বস্তুজগতের সৃষ্টি ও ধ্বংস সহ সকল রকমের পরিবর্তন পরমাত্মা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। অন্যদিকে প্রকৃতিবাদী তত্ত্ব অনুসারে বস্তু ও পদার্থ সহ যা কিছু আছে সবই বস্তু দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ও চালিত হয়, কারণ বস্তু ও শক্তি অভিন্ন।
ভাববাদীরা মনে করেন বস্তু ও শক্তি দুটো ভিন্ন জিনিস। বস্তু জড় বিশেষ, কিন্তু শক্তি একটি অবস্তুগত জিনিস। শক্তি যখন বস্তুর উপর ক্রিয়া করে তখনি বস্তু সক্রিয় হয়ে ওঠে। অন্যদিকে প্রকৃতিবাদ অনুসারে বস্তু ও শক্তি ভিন্ন কিছু নয়। শক্তি ও বস্তুর মধ্যে মূলত: কোন পার্থক্য নেই। যেমন- পানি, বরফ ও বাষ্প। এদের মধ্যে মূলত: কোন পার্থক্য নেই। যতটুকু পার্থক্য তা নিতান্তই অবস্থাগত এবং বাহ্যিক। এ জন্য এরা পরস্পর রূপান্তরযোগ্য। বস্তু এবংশক্তিওতাই।
ভাববাদী তত্ত্ব অনুসারে জীবন জীব কোষের কোন গুণ বা ধর্ম নয়। পরমাত্মা থেকে আসা একটি অলৌকিক ও অবস্তুগত শক্তি, কিন্তু প্রকৃতিবাদী তত্ত্ব অনুসারে চেতনা বা মন পরমাত্মা থেকে আসা কোন অলৌকিক ও অবস্তুগত শক্তি নয়; বরং মস্তিস্ক কোষ থেকে আসা বস্তুগত একটি গুণ বা ধর্ম বিশেষ। তাই মস্তিষ্ক বিলীন হবার সাথে সাথেই মন বা চেতনার চির অবসান ঘটে। অন্যদিকে ভাববাদী তত্ত্ব অনুসারে মস্তিষ্ক কোষের অবসান হবার সাথে সাথে মন বা চেতনার চির অবসান ঘটে না, স্থানান্তরিত হয় মাত্র।
ভাববাদী তত্ত্ব অনুসারে মানুষের দেহের মধ্যে আত্মা নামক অবস্তুগত একটি অবিনাশী অস্তিত্ব আছে। মানুষের দেহের অবসানের পরেও আত্মার অস্তিত্ব বিদ্যমান থাকে। অন্যদিকে প্রকৃতিবাদী তত্ত্ব অনুসারে মানুষের দেহের অবসানের সাথে সাথে জীবন, মন, চেতনা, ইত্যাদির চির অবসান ঘটে। আত্মা বলে অবিনাশী ও চিরন্তন কিছু নেই। কাজেই আত্মার অমরত্বের কোন প্রশ্নই ওঠে না।
সংশয়বাদঃ
সংশয়বাদ (ইংরেজি ভাষায়: Skepticism) শব্দটি অনেক বৃহৎ পরিসরে ব্যবহৃত হয়। যেকোন কিছুকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মনোভাবকেই সংশয়বাদ বলা যেতে পারে। সাধারণ্যে বহুল প্রচলিত কোন ধারণাকে সন্দেহ করা অর্থে সংশয়বাদ শব্দটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কোনকিছুর নিদর্শন পেলে তাকে বিনা বাক্যবয়ে মেনে না নিয়ে বরং সেই নিদর্শনটিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করাই সংশয়বাদ। যারা সংশয়বাদের প্রতি আস্থা রাখেন বা সংশয়বাদ চর্চা করেন তাদেরকে সংশয়বাদী বলা হয়।
চিরায়ত দর্শন থেকেই সংশয়বাদের ইংরেজি প্রতিশব্দ, স্কেপ্টিসিজম শব্দটি এসেছে। প্রাচীন গ্রিসে কিছু দার্শনিক ছিলেন যারা "কোনকিছুকেই নিশ্চিত বলে ঘোষণা দিতেন না বরং সবকিছুতেই তাদের নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করতেন"। দার্শনিকদের এই ধারাটিকে তখন Skeptikoi বলা হতো। তাই Skeptikoi দার্শনিক ধারার দার্শনিকদের বৈশিষ্ট্যকেই স্কেপ্টিসিজম হিসেবে আখ্যায়িত করা হতে থাকে।
নাস্তিক্যবাদঃ
নাস্তিক্যবাদ (ইংরেজি ভাষায়: Atheism; অন্যান্য নাম: নিরীশ্বরবাদ, নাস্তিকতাবাদ) একটি দর্শনের নাম যাতে ঈশ্বর বা স্রষ্টার অস্তিত্বকে স্বীকার করা হয়না এবং সম্পূর্ণ ভৌত এবং প্রাকৃতিক উপায়ে প্রকৃতির ব্যাখ্যা দেয়া হয়। আস্তিক্যবাদ এর বর্জন কেই নাস্তিক্যবাদ বলা যায়। নাস্তিক্যবাদ বিশ্বাস নয় বরং অবিশ্বাস এবং যুক্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। বিশ্বাসকে খণ্ডন নয় বরং বিশ্বাসের অনুপস্থিতিই এখানে মুখ্য।
ইংরেজি ‘এইথিজম’(Atheism) শব্দের অর্থ হল নাস্তিকক্য বা নিরীশ্বরবাদ। এইথিজম শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে গ্রিক ‘এথোস’ (ἄθεος) শব্দটি থেকে। শব্দটি সেই সকল মানুষকে নির্দেশ করে যারা ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই বলে মনে করে এবং প্রচলিত ধর্মগুলোর প্রতি অন্ধবিশ্বাস কে যুক্তি দ্বারা ভ্রান্ত বলে প্রমাণ করে। দিনদিন মুক্তচিন্তা,সংশয়বাদী চিন্তাধারা এবং ধর্মসমূহের সমালোচনা বৃদ্ধির সাথে সাথে নাস্তিক্যবাদেরও প্রসার ঘটছে। অষ্টাদশ শতাব্দীতে সর্বপ্রথম কিছু মানুষ নিজেদের নাস্তিক বলে স্বীকৃতি দেয়। পশ্চিমের দেশগুলোতে নাস্তিকদের সাধারণ ভাবে ধর্মহীন বা পরলৌকিক বিষয় সমূহে অবিশ্বাসী হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু বৌদ্ধ ধর্মের মত যেসব ধর্মে ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে হয় না, সেসব ধর্মালম্বীদেরকেও নাস্তিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নাস্তিক শব্দটি বৈদিক হিন্দু ধর্মের, হিন্দু ধর্মে নাস্তিক তাদেরই বলে যারা বেদের অপৌরুষয়েতায় বিশ্বাস করেনা। বেদের কিছু নাস্তিক ব্যক্তিগত ভাবে ধর্মনিরপেক্ষতা, হিন্দু ধর্মের দর্শন, যুক্তিবাদ,মানবতাবাদ এবং প্রকৃতিবাদে বিশ্বাস করে। নাস্তিকরা কোন বিশেষ মতাদর্শের অনুসারী নয় এবং তারা সকলে বিশেষ কোন আচার অনুষ্ঠানও পালন করে না। অর্থাৎ ব্যক্তিগত ভাবে যে কেউ, যে কোন মতাদর্শে সমর্থক হতে পারে,নাস্তিকদের মিল শুধুমাত্র এক জায়গাতেই, আর তা হল ঈশ্বরের অস্তিত্ব কে অবিশ্বাস করা।
অভিজ্ঞতাবাদঃ
অভিজ্ঞতাবাদ হচ্ছে একটি জ্ঞান তত্ত্ব। মানুষের জ্ঞানের উৎস কি এবং জ্ঞানের ক্ষমতা এবং সীবাবদ্ধতা কি এ বিষয়ে দর্শনে বিভিন্ন তত্ত্ব আছে। সাধারণভাবে অভিজ্ঞতাবাদ বলতে এরূপ তত্ত্বকে বোঝায় যে, মানুষের ইন্দ্রিয়- অভিজ্ঞতাই হচ্ছে জ্ঞানের একমাত্র উৎস। তবে অভিজ্ঞতা কথাটি দর্শনে ব্যাপক ব্যবহৃত শব্দ। ভাববাদ এবং বস্তুবাদ উভয় তত্ত্বে অভিজ্ঞতার ব্যবহার দেখা যায়।
অভিজ্ঞতাবাদ দু'ধরনের। ভাববাদী অভিজ্ঞতাবাদ এবং বস্তুবাদী অভিজ্ঞতাবাদ। বস্তুবাদী অভিজ্ঞতাবাদের তত্ত্ব অনুযায়ী আমাদের চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, জিহবা, ত্বক- অর্থাৎ ইন্দ্রিয়সমূহ হচ্ছে ভাবের বাহক এবং বস্তুজগৎ হচ্ছে ভাবের উৎস কেন্দ্র। ইন্দ্রিয়জ অভিজ্ঞতাই হচ্ছে জ্ঞানের মূল। ইন্দ্রিয়ের বাইরে কোন ভাবের সৃষ্টি সম্ভব নয়। ভাববাদীদের মতে মনের বাইরে কিছু নেই। মনের ভাবই জ্ঞানের একমাত্র বস্তু। দর্শনশাস্ত্রে অভিজ্ঞতাবাদ দ্বারা জ্ঞানের কিছু তত্ত্বকে বোঝায় যেখানে আদর্শ বা মকবাদের গঠনকার্যে অভিজ্ঞতার ভূমিকা মূখ্য হিসেবে ধরা হয়। এই মতবাদে সহজাত আদর্শগুলোকে তেমন কোন গুরুত্ব দেয়া হয়না।
দর্শনের সবচেয়ে প্রাথমিক মতবাদগুলোর একটি হল বস্তুবাদ। আমাদের চারপাশের জগতের যেসব অস্তিত্ত্ব আমরা পর্যবেক্ষণ করি বস্তুবাদ অনুযায়ী তারা যেকোন প্রকার চেতনা নিরপেক্ষ। যে দার্শনিক ধারায় ধরে নেওয়া হয় যে পৃথিবী বস্তুগত, তার অস্তিত্ব আছে বিষয়গতভাবে, চৈতন্যের বাইরে ও চৈতন্য-নিরপেক্ষভাবে, বস্তুই মুখ্য, তা কারো দ্বারা সৃষ্টি হয়নি এবং আছে বাহ্যিকভাবে, চৈতন্য, চিন্তন হল বস্তুরই একটি গুণধর্ম; পৃথিবী ও তার নিয়মগুলি জ্ঞেয়। বস্তুবাদ ভাববাদের বিরোধী এবং তাদের সংগ্রামই ওইতিহাসিক-দার্শনিক প্রক্রিয়ার আধেয়। বস্তুবাদ কথাটি ১৭শ শতাব্দীতে ব্যবহৃত হয়েছিল প্রধানত বস্তু সম্বন্ধে পদার্থবিদ্যাগত ধারণাগুলির অর্থে এবং ১৮শ শতাব্দীর গোড়ার দিক থেকে তা ব্যবহৃত হয়েছে দার্শনিক অর্থে, ভাববাদের বৈপরীত্যে।
ভাববাদঃ
ভাববাদী তত্ত্ব অনুসারে বস্তু জগতের সবকিছু পরমাত্মা কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়, অর্থাৎ বস্তুজগতের সৃষ্টি ও ধ্বংস সহ সকল রকমের পরিবর্তন পরমাত্মা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। অন্যদিকে প্রকৃতিবাদী তত্ত্ব অনুসারে বস্তু ও পদার্থ সহ যা কিছু আছে সবই বস্তু দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ও চালিত হয়, কারণ বস্তু ও শক্তি অভিন্ন।
ভাববাদীরা মনে করেন বস্তু ও শক্তি দুটো ভিন্ন জিনিস। বস্তু জড় বিশেষ, কিন্তু শক্তি একটি অবস্তুগত জিনিস। শক্তি যখন বস্তুর উপর ক্রিয়া করে তখনি বস্তু সক্রিয় হয়ে ওঠে। অন্যদিকে প্রকৃতিবাদ অনুসারে বস্তু ও শক্তি ভিন্ন কিছু নয়। শক্তি ও বস্তুর মধ্যে মূলত: কোন পার্থক্য নেই। যেমন- পানি, বরফ ও বাষ্প। এদের মধ্যে মূলত: কোন পার্থক্য নেই। যতটুকু পার্থক্য তা নিতান্তই অবস্থাগত এবং বাহ্যিক। এ জন্য এরা পরস্পর রূপান্তরযোগ্য। বস্তু এবংশক্তিওতাই।
ভাববাদী তত্ত্ব অনুসারে জীবন জীব কোষের কোন গুণ বা ধর্ম নয়। পরমাত্মা থেকে আসা একটি অলৌকিক ও অবস্তুগত শক্তি, কিন্তু প্রকৃতিবাদী তত্ত্ব অনুসারে চেতনা বা মন পরমাত্মা থেকে আসা কোন অলৌকিক ও অবস্তুগত শক্তি নয়; বরং মস্তিস্ক কোষ থেকে আসা বস্তুগত একটি গুণ বা ধর্ম বিশেষ। তাই মস্তিষ্ক বিলীন হবার সাথে সাথেই মন বা চেতনার চির অবসান ঘটে। অন্যদিকে ভাববাদী তত্ত্ব অনুসারে মস্তিষ্ক কোষের অবসান হবার সাথে সাথে মন বা চেতনার চির অবসান ঘটে না, স্থানান্তরিত হয় মাত্র।
ভাববাদী তত্ত্ব অনুসারে মানুষের দেহের মধ্যে আত্মা নামক অবস্তুগত একটি অবিনাশী অস্তিত্ব আছে। মানুষের দেহের অবসানের পরেও আত্মার অস্তিত্ব বিদ্যমান থাকে। অন্যদিকে প্রকৃতিবাদী তত্ত্ব অনুসারে মানুষের দেহের অবসানের সাথে সাথে জীবন, মন, চেতনা, ইত্যাদির চির অবসান ঘটে। আত্মা বলে অবিনাশী ও চিরন্তন কিছু নেই। কাজেই আত্মার অমরত্বের কোন প্রশ্নই ওঠে না।
সংশয়বাদঃ
সংশয়বাদ (ইংরেজি ভাষায়: Skepticism) শব্দটি অনেক বৃহৎ পরিসরে ব্যবহৃত হয়। যেকোন কিছুকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মনোভাবকেই সংশয়বাদ বলা যেতে পারে। সাধারণ্যে বহুল প্রচলিত কোন ধারণাকে সন্দেহ করা অর্থে সংশয়বাদ শব্দটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কোনকিছুর নিদর্শন পেলে তাকে বিনা বাক্যবয়ে মেনে না নিয়ে বরং সেই নিদর্শনটিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করাই সংশয়বাদ। যারা সংশয়বাদের প্রতি আস্থা রাখেন বা সংশয়বাদ চর্চা করেন তাদেরকে সংশয়বাদী বলা হয়।
চিরায়ত দর্শন থেকেই সংশয়বাদের ইংরেজি প্রতিশব্দ, স্কেপ্টিসিজম শব্দটি এসেছে। প্রাচীন গ্রিসে কিছু দার্শনিক ছিলেন যারা "কোনকিছুকেই নিশ্চিত বলে ঘোষণা দিতেন না বরং সবকিছুতেই তাদের নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করতেন"। দার্শনিকদের এই ধারাটিকে তখন Skeptikoi বলা হতো। তাই Skeptikoi দার্শনিক ধারার দার্শনিকদের বৈশিষ্ট্যকেই স্কেপ্টিসিজম হিসেবে আখ্যায়িত করা হতে থাকে।
নাস্তিক্যবাদঃ
নাস্তিক্যবাদ (ইংরেজি ভাষায়: Atheism; অন্যান্য নাম: নিরীশ্বরবাদ, নাস্তিকতাবাদ) একটি দর্শনের নাম যাতে ঈশ্বর বা স্রষ্টার অস্তিত্বকে স্বীকার করা হয়না এবং সম্পূর্ণ ভৌত এবং প্রাকৃতিক উপায়ে প্রকৃতির ব্যাখ্যা দেয়া হয়। আস্তিক্যবাদ এর বর্জন কেই নাস্তিক্যবাদ বলা যায়। নাস্তিক্যবাদ বিশ্বাস নয় বরং অবিশ্বাস এবং যুক্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। বিশ্বাসকে খণ্ডন নয় বরং বিশ্বাসের অনুপস্থিতিই এখানে মুখ্য।
ইংরেজি ‘এইথিজম’(Atheism) শব্দের অর্থ হল নাস্তিকক্য বা নিরীশ্বরবাদ। এইথিজম শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে গ্রিক ‘এথোস’ (ἄθεος) শব্দটি থেকে। শব্দটি সেই সকল মানুষকে নির্দেশ করে যারা ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই বলে মনে করে এবং প্রচলিত ধর্মগুলোর প্রতি অন্ধবিশ্বাস কে যুক্তি দ্বারা ভ্রান্ত বলে প্রমাণ করে। দিনদিন মুক্তচিন্তা,সংশয়বাদী চিন্তাধারা এবং ধর্মসমূহের সমালোচনা বৃদ্ধির সাথে সাথে নাস্তিক্যবাদেরও প্রসার ঘটছে। অষ্টাদশ শতাব্দীতে সর্বপ্রথম কিছু মানুষ নিজেদের নাস্তিক বলে স্বীকৃতি দেয়। পশ্চিমের দেশগুলোতে নাস্তিকদের সাধারণ ভাবে ধর্মহীন বা পরলৌকিক বিষয় সমূহে অবিশ্বাসী হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু বৌদ্ধ ধর্মের মত যেসব ধর্মে ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে হয় না, সেসব ধর্মালম্বীদেরকেও নাস্তিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নাস্তিক শব্দটি বৈদিক হিন্দু ধর্মের, হিন্দু ধর্মে নাস্তিক তাদেরই বলে যারা বেদের অপৌরুষয়েতায় বিশ্বাস করেনা। বেদের কিছু নাস্তিক ব্যক্তিগত ভাবে ধর্মনিরপেক্ষতা, হিন্দু ধর্মের দর্শন, যুক্তিবাদ,মানবতাবাদ এবং প্রকৃতিবাদে বিশ্বাস করে। নাস্তিকরা কোন বিশেষ মতাদর্শের অনুসারী নয় এবং তারা সকলে বিশেষ কোন আচার অনুষ্ঠানও পালন করে না। অর্থাৎ ব্যক্তিগত ভাবে যে কেউ, যে কোন মতাদর্শে সমর্থক হতে পারে,নাস্তিকদের মিল শুধুমাত্র এক জায়গাতেই, আর তা হল ঈশ্বরের অস্তিত্ব কে অবিশ্বাস করা।
অভিজ্ঞতাবাদঃ
অভিজ্ঞতাবাদ হচ্ছে একটি জ্ঞান তত্ত্ব। মানুষের জ্ঞানের উৎস কি এবং জ্ঞানের ক্ষমতা এবং সীবাবদ্ধতা কি এ বিষয়ে দর্শনে বিভিন্ন তত্ত্ব আছে। সাধারণভাবে অভিজ্ঞতাবাদ বলতে এরূপ তত্ত্বকে বোঝায় যে, মানুষের ইন্দ্রিয়- অভিজ্ঞতাই হচ্ছে জ্ঞানের একমাত্র উৎস। তবে অভিজ্ঞতা কথাটি দর্শনে ব্যাপক ব্যবহৃত শব্দ। ভাববাদ এবং বস্তুবাদ উভয় তত্ত্বে অভিজ্ঞতার ব্যবহার দেখা যায়।
অভিজ্ঞতাবাদ দু'ধরনের। ভাববাদী অভিজ্ঞতাবাদ এবং বস্তুবাদী অভিজ্ঞতাবাদ। বস্তুবাদী অভিজ্ঞতাবাদের তত্ত্ব অনুযায়ী আমাদের চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, জিহবা, ত্বক- অর্থাৎ ইন্দ্রিয়সমূহ হচ্ছে ভাবের বাহক এবং বস্তুজগৎ হচ্ছে ভাবের উৎস কেন্দ্র। ইন্দ্রিয়জ অভিজ্ঞতাই হচ্ছে জ্ঞানের মূল। ইন্দ্রিয়ের বাইরে কোন ভাবের সৃষ্টি সম্ভব নয়। ভাববাদীদের মতে মনের বাইরে কিছু নেই। মনের ভাবই জ্ঞানের একমাত্র বস্তু। দর্শনশাস্ত্রে অভিজ্ঞতাবাদ দ্বারা জ্ঞানের কিছু তত্ত্বকে বোঝায় যেখানে আদর্শ বা মকবাদের গঠনকার্যে অভিজ্ঞতার ভূমিকা মূখ্য হিসেবে ধরা হয়। এই মতবাদে সহজাত আদর্শগুলোকে তেমন কোন গুরুত্ব দেয়া হয়না।
যুক্তিবাদঃ
দর্শন ও বিজ্ঞানের বিকাশের যুগ থেকে যুক্তিবাদ বলতে দর্শনশাস্ত্রে গাণিতিক পদ্ধতির সম্পৃক্তকরণকেই বোঝানো হয়ে থাকে, যেমনটি দেকার্ত, লিবনিৎজ্ এবং স্পিনোজা করেছিলেন। একে মূলত ইউরোপীয় যুক্তিবাদ বলা হয়, কারণ ইউরোপে যখন এই মতবাদ কর্তৃত্বময় ছিল তখন ব্রিটেনে অভিজ্ঞতাবাদের রাজত্ব চলছিল।
যুক্তিবাদকে প্রায়ই অভিজ্ঞতাবাদের বিপরীতে দাড় করানো হয়। বিস্তীর্ন অর্থে এই দু’টো দৃষ্টিভঙ্গী একটা আরেকটা থেকে স্বতন্ত্র্য নয়, কারণ একজন দার্শনিক একই সাথে যুক্তিবাদী ও অভিজ্ঞতাবাদী হতে পারেন।[১]অভিজ্ঞতবাদের সবচেয়ে চরমপন্থী দৃষ্টিভঙ্গী বলে যে অভিজ্ঞতার মাধ্যমেই জ্ঞান অর্জন হয়, হয় পঞ্চইন্দ্রীয় দিয়ে নয়ত বেদনা-সুখের মত গহীন অনুভূতি দিয়ে। জ্ঞানের ভিত্তি অভিজ্ঞতা, আবার অভিজ্ঞতা থেকে জ্ঞান অবরোহিতও হয়। দন্দ্ব মূলত জ্ঞানের উৎস এবং জ্ঞান যাচাইয়ের উপযুক্ত পদ্ধতি নিয়েই।
যুক্তিবাদের কয়েকটি তরিকার সমর্থকরা বলেন যে ভিত্তিপ্রস্তরমূলক নীতি থেকে, যেমন জ্যামিতির সূত্র, অবরোহী পদ্ধতি দ্বারা সব প্রকার সম্ভাব্য জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব। বারুচ স্পিনোজা এবং গটফ্রিড লিবনিৎজ্ এই মতের অনুসারী ছিলেন এবং তাঁরা দেকার্তের উপস্থাপিত কিছু জ্ঞানতাত্ত্বিক এবং অধিবৈদিক সমস্যার সাথে লড়তে গিয়ে তাঁরা যুক্তিবাদের মৌলিক তরিকার জন্ম দেন। স্পিনোজা এবং লিবনিৎজ্ দাবি করেন যে তত্ত্বীয়ভাবে সব প্রকার জ্ঞান (যার মধ্যে বৈজ্ঞানিক জ্ঞানও অন্তর্ভুক্ত) যুক্তি দ্বারা আহরণ করা সম্ভব, যদিও তাঁরা দু’জনই পর্যবেক্ষণ করেছিলেন যে গণিতের মত কিছু ব্যতিক্রমী শাখা বাদে আর কোন ক্ষেত্রেই এই কাজ সম্ভব না। আচরণকে যুক্তির উপর ভিত্তি করে বিশ্লেষণ করাকেই যুক্তিবাদ বলে।
যুক্তিবাদী ও অভিজ্ঞতাবাদীদের মধ্যে পার্থক্যটা পরে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং একারণে উভয় তরিকার দার্শনিকরা এই পার্থক্যীকরণ সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। এছাড়া এই পার্থক্যের করণটা আপাতদৃষ্টিতে যত পরিষ্কার মনে হয়, বাস্তবে মোটেই তা নয়; যেমন, প্রধান তিন যুক্তিবাদী অভিজ্ঞতাবাদী বিজ্ঞানের গুরুত্বের প্রতি নিবেদিত ছিলেন, ওদিকে অনেক ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাবাদীরা তাঁদের কর্মপদ্ধতি এবং অধিবৈদিক তত্ত্বের দিক দিয়ে দেকার্তের সাথে স্পিনোজা এবং লিবনিৎজের থেকে বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ ছিলেন।
মুক্তচিন্তাঃ
মুক্তচিন্তা (ইংরেজি: Freethought) হল এক প্রকার দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গী যা বলে যে বিজ্ঞান, যুক্তিবিদ্যা এবং যুক্তির আলোকে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত; মতামত গঠণের ক্ষেত্রে প্রথা, অন্ধ বিশ্বাস এবং কর্তৃপক্ষ দ্বারা প্রভাবিত হওয়া বাঞ্চনীয় নয়। সচেতনভাবে মুক্তচিন্তার প্রয়োগকে বলে মুক্তচিন্তন এবং এর অনুশীলনকারীদের বলে মুক্তমনা।
মুক্তচিন্তা বলে যে জ্ঞান ও যুক্তির অনুপস্থিতিতে দাবিকৃত কোন মতকেই সত্য হিসেবে গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করা উচিত না। সুতরাং, মুক্তমনারা বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান, বাস্তব সত্য এবং যুক্তির আলোকে মত গড়ে তুলে এবং হেত্বাভাস অথবা কর্তৃপক্ষ, পক্ষপাতদুষ্টতা, লোকজ্ঞান, জনপ্রিয় সংস্কৃতি, কুসংস্কার, সাম্প্রদায়িকতা, প্রথা, গুজব এবং অন্য সব গোঁড়া, বৌদ্ধিক প্রতিবন্ধকতার উৎসাহদাতার ভূমিকা পালনকারী শাস্ত্র থেকে নিজেদের বিরত রাখে। ধর্মের ক্ষেত্রে মুক্তমনারা সাধারণত বলে যে অলৌকিক অবভাসের পক্ষে প্রমাণ যথেষ্ট নয়।
ঊনবিংশ শতাব্দীর ব্রিটিশ গণিতজ্ঞ এবং দার্শনিক উইলিয়াম কিংডন ক্লিফোর্ডের “ক্লিফোর্ডস্ ক্রেডো” এর একটি বাক্যকে মুক্তচিন্তার ভিত্তি বলা যায়- “যে কোন ব্যক্তির যে কোন জায়গায় উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে কোন কিছু বিশ্বাস করা উচিত নয়”।
দর্শন ও বিজ্ঞানের বিকাশের যুগ থেকে যুক্তিবাদ বলতে দর্শনশাস্ত্রে গাণিতিক পদ্ধতির সম্পৃক্তকরণকেই বোঝানো হয়ে থাকে, যেমনটি দেকার্ত, লিবনিৎজ্ এবং স্পিনোজা করেছিলেন। একে মূলত ইউরোপীয় যুক্তিবাদ বলা হয়, কারণ ইউরোপে যখন এই মতবাদ কর্তৃত্বময় ছিল তখন ব্রিটেনে অভিজ্ঞতাবাদের রাজত্ব চলছিল।
যুক্তিবাদকে প্রায়ই অভিজ্ঞতাবাদের বিপরীতে দাড় করানো হয়। বিস্তীর্ন অর্থে এই দু’টো দৃষ্টিভঙ্গী একটা আরেকটা থেকে স্বতন্ত্র্য নয়, কারণ একজন দার্শনিক একই সাথে যুক্তিবাদী ও অভিজ্ঞতাবাদী হতে পারেন।[১]অভিজ্ঞতবাদের সবচেয়ে চরমপন্থী দৃষ্টিভঙ্গী বলে যে অভিজ্ঞতার মাধ্যমেই জ্ঞান অর্জন হয়, হয় পঞ্চইন্দ্রীয় দিয়ে নয়ত বেদনা-সুখের মত গহীন অনুভূতি দিয়ে। জ্ঞানের ভিত্তি অভিজ্ঞতা, আবার অভিজ্ঞতা থেকে জ্ঞান অবরোহিতও হয়। দন্দ্ব মূলত জ্ঞানের উৎস এবং জ্ঞান যাচাইয়ের উপযুক্ত পদ্ধতি নিয়েই।
যুক্তিবাদের কয়েকটি তরিকার সমর্থকরা বলেন যে ভিত্তিপ্রস্তরমূলক নীতি থেকে, যেমন জ্যামিতির সূত্র, অবরোহী পদ্ধতি দ্বারা সব প্রকার সম্ভাব্য জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব। বারুচ স্পিনোজা এবং গটফ্রিড লিবনিৎজ্ এই মতের অনুসারী ছিলেন এবং তাঁরা দেকার্তের উপস্থাপিত কিছু জ্ঞানতাত্ত্বিক এবং অধিবৈদিক সমস্যার সাথে লড়তে গিয়ে তাঁরা যুক্তিবাদের মৌলিক তরিকার জন্ম দেন। স্পিনোজা এবং লিবনিৎজ্ দাবি করেন যে তত্ত্বীয়ভাবে সব প্রকার জ্ঞান (যার মধ্যে বৈজ্ঞানিক জ্ঞানও অন্তর্ভুক্ত) যুক্তি দ্বারা আহরণ করা সম্ভব, যদিও তাঁরা দু’জনই পর্যবেক্ষণ করেছিলেন যে গণিতের মত কিছু ব্যতিক্রমী শাখা বাদে আর কোন ক্ষেত্রেই এই কাজ সম্ভব না। আচরণকে যুক্তির উপর ভিত্তি করে বিশ্লেষণ করাকেই যুক্তিবাদ বলে।
যুক্তিবাদী ও অভিজ্ঞতাবাদীদের মধ্যে পার্থক্যটা পরে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং একারণে উভয় তরিকার দার্শনিকরা এই পার্থক্যীকরণ সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। এছাড়া এই পার্থক্যের করণটা আপাতদৃষ্টিতে যত পরিষ্কার মনে হয়, বাস্তবে মোটেই তা নয়; যেমন, প্রধান তিন যুক্তিবাদী অভিজ্ঞতাবাদী বিজ্ঞানের গুরুত্বের প্রতি নিবেদিত ছিলেন, ওদিকে অনেক ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাবাদীরা তাঁদের কর্মপদ্ধতি এবং অধিবৈদিক তত্ত্বের দিক দিয়ে দেকার্তের সাথে স্পিনোজা এবং লিবনিৎজের থেকে বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ ছিলেন।
মুক্তচিন্তাঃ
মুক্তচিন্তা (ইংরেজি: Freethought) হল এক প্রকার দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গী যা বলে যে বিজ্ঞান, যুক্তিবিদ্যা এবং যুক্তির আলোকে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত; মতামত গঠণের ক্ষেত্রে প্রথা, অন্ধ বিশ্বাস এবং কর্তৃপক্ষ দ্বারা প্রভাবিত হওয়া বাঞ্চনীয় নয়। সচেতনভাবে মুক্তচিন্তার প্রয়োগকে বলে মুক্তচিন্তন এবং এর অনুশীলনকারীদের বলে মুক্তমনা।
মুক্তচিন্তা বলে যে জ্ঞান ও যুক্তির অনুপস্থিতিতে দাবিকৃত কোন মতকেই সত্য হিসেবে গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করা উচিত না। সুতরাং, মুক্তমনারা বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান, বাস্তব সত্য এবং যুক্তির আলোকে মত গড়ে তুলে এবং হেত্বাভাস অথবা কর্তৃপক্ষ, পক্ষপাতদুষ্টতা, লোকজ্ঞান, জনপ্রিয় সংস্কৃতি, কুসংস্কার, সাম্প্রদায়িকতা, প্রথা, গুজব এবং অন্য সব গোঁড়া, বৌদ্ধিক প্রতিবন্ধকতার উৎসাহদাতার ভূমিকা পালনকারী শাস্ত্র থেকে নিজেদের বিরত রাখে। ধর্মের ক্ষেত্রে মুক্তমনারা সাধারণত বলে যে অলৌকিক অবভাসের পক্ষে প্রমাণ যথেষ্ট নয়।
ঊনবিংশ শতাব্দীর ব্রিটিশ গণিতজ্ঞ এবং দার্শনিক উইলিয়াম কিংডন ক্লিফোর্ডের “ক্লিফোর্ডস্ ক্রেডো” এর একটি বাক্যকে মুক্তচিন্তার ভিত্তি বলা যায়- “যে কোন ব্যক্তির যে কোন জায়গায় উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে কোন কিছু বিশ্বাস করা উচিত নয়”।
অজ্ঞেযবাদ
(ইংরেজি: Agnosticism) একটি দর্শন, যা বিভিন্ন মৌলিক প্রশ্ন বা ধর্মীয় দাবি, যেমন - ঈশ্বর-এর অস্তিত্ব, ইত্যাদির সত্যতাকে মনে করে অজ্ঞাত ও অজ্ঞেয, তথাপি জীবনযাপনের জন্য অগুরুত্বপূর্ণ। অজ্ঞেয়বাদ, নাস্তিকতাবাদ হতে ভিন্ন, কেননা নাস্তিকতাবাদ ঈশ্বরের অস্তিত্বহীনতা দাবী করে, যেখানে অজ্ঞেয়বাদ এই দাবীর প্রশ্নেও সমান সন্দিহান।
অজ্ঞেয়বাদে যারা বিশ্বাস করেন তাদের সাথে, যারা মৌলিক প্রশ্নের উত্তরকে অজ্ঞাত কিন্তু হয়তো অজ্ঞেয় নয় মনে করেন, তারাও নিজেদের অজ্ঞেয়বাদী দাবী করেন ও শেষের দর্শনটিকেও অজ্ঞেয়বাদেই আলোচনা করা হয়। সাধারণভাবে সকল অজ্ঞেয়বাদী ধর্ম সংক্রান্ত বিশ্বাসের ব্যাপারে সংশয়ী হন।
(ইংরেজি: Agnosticism) একটি দর্শন, যা বিভিন্ন মৌলিক প্রশ্ন বা ধর্মীয় দাবি, যেমন - ঈশ্বর-এর অস্তিত্ব, ইত্যাদির সত্যতাকে মনে করে অজ্ঞাত ও অজ্ঞেয, তথাপি জীবনযাপনের জন্য অগুরুত্বপূর্ণ। অজ্ঞেয়বাদ, নাস্তিকতাবাদ হতে ভিন্ন, কেননা নাস্তিকতাবাদ ঈশ্বরের অস্তিত্বহীনতা দাবী করে, যেখানে অজ্ঞেয়বাদ এই দাবীর প্রশ্নেও সমান সন্দিহান।
অজ্ঞেয়বাদে যারা বিশ্বাস করেন তাদের সাথে, যারা মৌলিক প্রশ্নের উত্তরকে অজ্ঞাত কিন্তু হয়তো অজ্ঞেয় নয় মনে করেন, তারাও নিজেদের অজ্ঞেয়বাদী দাবী করেন ও শেষের দর্শনটিকেও অজ্ঞেয়বাদেই আলোচনা করা হয়। সাধারণভাবে সকল অজ্ঞেয়বাদী ধর্ম সংক্রান্ত বিশ্বাসের ব্যাপারে সংশয়ী হন।
অর্থতও চার্লস এস পার্স
এই ক্লান্তিকর ব্যাখ্যা, যা আমি আশা করি, বল ধারণার অসাধারণ আগ্রহ দৃশ্যে, পাঠকের ধৈর্য ক্লান্ত নাও হতে পারে, আমর
অবশেষে প্রস্তুত করা হয় গ্র্যান্ড আসলে যা এই ধারণার উদ্ভব রাষ্ট্র. এই যে
গতি প্রকৃত পরিবর্তন যা দেহের অভিজ্ঞতার বিভিন্ন কণা একে তার উপযুক্ত ভাবে মীমাংসা
করা হয় যদি, প্রতিটি উপাদানের ত্বরণ অবিকল যেমন হয়, প্রকৃতি একটি নির্দিষ্ট আইন দ্বারা নির্ধারিত হয়, যা দেহ অনুযায়ী, আপেক্ষিক
অবস্থানকে হয় যা প্রশ্নে মৃতদেহ আসলে, মুহূর্তে আছে
সবসময়, নির্দিষ্ট accelerations, যা জ্যামিতিক
ছাড়াও দ্বারা মিশ্রিত হচ্ছে গ্রহণ ত্বরণ যা শরীর আসলে অভিজ্ঞতা দিতে.
এই শুধুমাত্র সত্য যা বাহিনীর ধারণা প্রতিনিধিত্ব করে, আর যে কষ্ট পরিষ্কারভাবে নিতে বোঝে কি এই সত্য হবে, পুরোপুরি বেষ্টন করে আছেন কি বল হয়. কিনা আমরা বলতে চাই যে, একটি বল একটি ত্বরণ, অথবা এটি একটি ত্বরণ কারণ, ভাষা যথার্থতা একটি নিছক প্রশ্ন, যা আরো ফরাসি বাগ্ধারা "ইল নিষ্পন্ন Froid" এর মধ্যে পার্থক্য চেয়ে আমাদের প্রকৃত অর্থ না কোন রয়েছে কর্তব্য এবং তার ইংরেজি সমতুল্য "এটা ঠান্ডা." তবুও এটি দেখতে কিভাবে এই সহজ ব্যাপার পুরুষদের মন মিশে গিয়েছিল হয়েছে বিস্ময়কর. কত গভীর চুক্তিগুলি একটি "রহস্যময় সত্তা," যা শুধুমাত্র স্বীকার করে লেখক কি না শব্দটি কি এর একটি স্পষ্ট ধারণা পেয়ে নিরাশ একটি উপায় মনে করা হয় যেমন উচ্চারিত বল না! বিশ্লেষণী যন্ত্রসংক্রান্ত উপর একটি সাম্প্রতিক প্রশংসিত কাজ তা বিবৃত করা হয় যে আমরা সঠিকভাবে বল প্রভাব বুঝতে, কিন্তু কি বল নিজেই আমরা বুঝতে পারছিলাম না! এই কেবল একটি স্ব-দ্বন্দ্ব. তুলনায় আমাদের কর্ম প্রভাবিত, এবং এই কর্ম তার প্রভাব মাধ্যমে ব্যতীত অন্য কোনভাবে বাধ্য করার কোন রেফারেন্স থাকতে পারে ধারণা যা শব্দ বল আমাদের হৃদয় ও মন জয় মধ্যে উত্তেজিত করে অন্য কোন কার্যকারিতা রয়েছে. ফলে, আমরা যদি সত্যি জানি কি বল প্রভাব আছে, আমরা যে আসলে যা বলছে যে একটি শক্তি বিদ্যমান উহ্য হয়, এবং আর কিছুই জানা নেই সঙ্গে পরিচিত হয়. সত্য কিছু অস্পষ্ট ধারণা চালু একটি প্রশ্ন, যা কিছু মন কল্পনা করতে পারবে না এর অর্থ হতে পারে যে নেই, নেই; এবং যখন কিছু চুলচেরা দার্শনিক যেমন একটি দৃশ্য অর্থহীনতা সঙ্গে মুখোমুখি করা হয়েছে, তারা ইতিবাচক ও নেতিবাচক ধারণা মধ্যে একটি খালি পার্থক্য আবিষ্কার করেছে, তাদের ধারণা একটি ফর্ম স্পষ্টত অর্থহীন না দিতে প্রয়াস. এটা এর অকার্যকরতা কয়েক পৃষ্ঠা ফিরিয়ে দেওয়া কারণগুলো থেকে পর্যাপ্ত সমভূমি; এবং, পৃথক্ সেই কারণগুলো থেকে, পার্থক্য quibbling চরিত্র প্রতি মনের বাস্তব চিন্তা করতে অভ্যস্ত তাড়িত করেছে ।
এই শুধুমাত্র সত্য যা বাহিনীর ধারণা প্রতিনিধিত্ব করে, আর যে কষ্ট পরিষ্কারভাবে নিতে বোঝে কি এই সত্য হবে, পুরোপুরি বেষ্টন করে আছেন কি বল হয়. কিনা আমরা বলতে চাই যে, একটি বল একটি ত্বরণ, অথবা এটি একটি ত্বরণ কারণ, ভাষা যথার্থতা একটি নিছক প্রশ্ন, যা আরো ফরাসি বাগ্ধারা "ইল নিষ্পন্ন Froid" এর মধ্যে পার্থক্য চেয়ে আমাদের প্রকৃত অর্থ না কোন রয়েছে কর্তব্য এবং তার ইংরেজি সমতুল্য "এটা ঠান্ডা." তবুও এটি দেখতে কিভাবে এই সহজ ব্যাপার পুরুষদের মন মিশে গিয়েছিল হয়েছে বিস্ময়কর. কত গভীর চুক্তিগুলি একটি "রহস্যময় সত্তা," যা শুধুমাত্র স্বীকার করে লেখক কি না শব্দটি কি এর একটি স্পষ্ট ধারণা পেয়ে নিরাশ একটি উপায় মনে করা হয় যেমন উচ্চারিত বল না! বিশ্লেষণী যন্ত্রসংক্রান্ত উপর একটি সাম্প্রতিক প্রশংসিত কাজ তা বিবৃত করা হয় যে আমরা সঠিকভাবে বল প্রভাব বুঝতে, কিন্তু কি বল নিজেই আমরা বুঝতে পারছিলাম না! এই কেবল একটি স্ব-দ্বন্দ্ব. তুলনায় আমাদের কর্ম প্রভাবিত, এবং এই কর্ম তার প্রভাব মাধ্যমে ব্যতীত অন্য কোনভাবে বাধ্য করার কোন রেফারেন্স থাকতে পারে ধারণা যা শব্দ বল আমাদের হৃদয় ও মন জয় মধ্যে উত্তেজিত করে অন্য কোন কার্যকারিতা রয়েছে. ফলে, আমরা যদি সত্যি জানি কি বল প্রভাব আছে, আমরা যে আসলে যা বলছে যে একটি শক্তি বিদ্যমান উহ্য হয়, এবং আর কিছুই জানা নেই সঙ্গে পরিচিত হয়. সত্য কিছু অস্পষ্ট ধারণা চালু একটি প্রশ্ন, যা কিছু মন কল্পনা করতে পারবে না এর অর্থ হতে পারে যে নেই, নেই; এবং যখন কিছু চুলচেরা দার্শনিক যেমন একটি দৃশ্য অর্থহীনতা সঙ্গে মুখোমুখি করা হয়েছে, তারা ইতিবাচক ও নেতিবাচক ধারণা মধ্যে একটি খালি পার্থক্য আবিষ্কার করেছে, তাদের ধারণা একটি ফর্ম স্পষ্টত অর্থহীন না দিতে প্রয়াস. এটা এর অকার্যকরতা কয়েক পৃষ্ঠা ফিরিয়ে দেওয়া কারণগুলো থেকে পর্যাপ্ত সমভূমি; এবং, পৃথক্ সেই কারণগুলো থেকে, পার্থক্য quibbling চরিত্র প্রতি মনের বাস্তব চিন্তা করতে অভ্যস্ত তাড়িত করেছে ।
wbi‡cÿ GKZ¡ev`
iv‡mj Zvi “An outline of philosophy” MÖ‡š’i
Dbwesk Aa¨v‡q cÖZ¨ÿ‡YvËi `k©‡b I fveev` I wbimb K‡ib| cÖZ¨ÿ‡Yi AšÍ`vk©wbK
we‡kølY Ki‡Z wM‡q iv‡mj wbi‡cÿ GKZ¡ev‡` DcbxZ nb|
wbi‡cÿ GKZ¡ev`
wbi‡cÿev` I GKZ¡ev‡`i mgwš^Z iƒcB n‡”Q wbi‡cÿ GKZ¡ev`| GwU AwaweQ¨K ev mfv m¤úK©xq
`k©b hvi g‡Z, RM‡Zi Avw` Dcv`vb Ro bq Avevi gbI bq eis Zv nj wbi‡cÿ I GKK
cÖK…wZi| A_©vr Avw` mËv wbi‡cÿ| GB gZev`‡K GKZ¡ev`I ejv nq KviY GB mËv GKK
ˆewkó¨c~Y©| GB GKK ˆewk‡ó¨i Avw` Dcv`vb‡K iv‡mj NUbv e‡j‡Qb|
iv‡mj Gi fvlvq-
“Everything in the world is
composed of ‘event’: that, at least, in the thesis I wish to maintain.”
RM‡Zi Avw` Dcv`vb Ro bv gb, weÁvb I `k©b welqwU
wb‡q e¨wZµgag©x Ae¯’v‡b G‡m DcbxZ n‡q‡Q| iv‡mj Gi fvlvq-
“The dualism of mind and
matter ..... cannot be allowed as metaphysically right.”
wbi‡cÿ GKZ¡ev‡`i e¨vL¨v
iv‡mj RMr‡K GKwU †hŠw³K msMVb e‡j AwfwnZ K‡i‡Qb|
iv‡mj 1918 mv‡j cÖKvwkZ “The Philosophy of Logical Atomism” kxl©K
e³…Zvq `k©b‡K †hŠw³K Ges cvigvYweK e‡j †NvlYv K‡ib| Zvi g‡Z, †hŠw³K cigvYy w`‡q
MwVZ †h RMr Zv‡K wZwb GK ai‡Yi †hŠw³K msMVb e‡jb|
iv‡mj e‡jb- RMr e¯‘ w`‡q MwVZ bq| Avevi G RMr gb
w`‡qI MwVZ bq| wZwb Zvi “The Analysis of Mind, The Anaysis of Matter. mn wewfbœ
MÖ‡š’ I e³…Zvq Ro Ges g‡bi ¯^iƒc e¨vL¨v K‡i‡Qb| “An
outline of philosophy” †ZI Ro g‡bi cÖK…wZ wb‡q Av‡jvPbv K‡ib|
Zvi `k©‡bi mvi K_v- RMr wKQz wbi‡cÿ mËviØviv ev
wbi‡cÿ Dcv`vb Øviv MwVZ| GRb¨ Zvi gZev`‡K wbi‡cÿ GKZ¡ev` ejv nq|
Zvi fvlvq,
ÒAvwg †h gZ †cvlY KiwQ Zv Roev` I bq, gvbmev` I bq;
eis †mUv n‡”Q hv‡K Avgiv wbi‡cÿ GKZ¡ev` ewj, ZvB|Ó
mgKvjxb weÁv‡bi MwZcÖK…wZ m¤ú‡K© wQj iv‡mj Gi ¯^”Q
aviYv| wZwb wePÿYZvi mv‡_ Ae‡jvKb K‡iwQ‡jb †h, mgKvjxb c`v_©we`¨v Ae¯‘i w`‡K
avweZ n‡”Q|
Jood Gi fvlvq,
“.... under the influence of
Modern Physics matter has been growing less material.”
mgKvjxb g‡bvweÁvb avweZ n‡”Q e¯‘RM‡Zi w`‡K|
cixÿYvZ¥K weÁvb wn‡m‡e g‡bvweÁvb AvwZ¥K wel‡qi cwie‡Z© evwn¨K wel‡qi cÖwZ Szu‡K
c‡o‡Q|
Joac Gi fvlvq-
“.... under the influence of
Modern Physics matter has been growing less material.”
GB wecixZ ag©xq wecixZ †¯ªvZ`viv‡K iv‡mj Zvi `k©‡b
mgwš^Z K‡i Zvi wbi‡cÿ GKZ¡ev` cÖwZôv K‡ib| wZwb †`Kvb RMr Ro ev gb w`‡q bq eis
wbi‡cÿ c`v_© Øviv MwVZ| hv‡K †Kej Ro I ejv hvq bv Avevi ARoI ejv hvq bv|
iv‡mj e‡jb-
“The verb which I am
advocating is neither materialism nor mentalism, but what (following a
suggestion of Dr. H. M. Steffer) we call ‘neutral monism.” (out)
wZwb ¯^xKvi K‡i- GB g‡Zi Bw½Z i‡q‡Q gvK G Ges
DBwjqvg †Rgm Gi G G g‡Zi my¯úó cÖKvk i‡q‡Q|
iv‡mj my¯úó e‡jb-
“In a completed science, the
word ‘mind’ and the word ‘matter’ would booth disappear, and would be replaced
by causual laws concerning ‘event’.”
iv‡mj Roe¯‘i cÖK…wZ m¤ú‡K© e¨vL¨vq R‡oi DrcwËi †ÿ‡Î
I wbi‡cÿ c`v‡_©i K_v †NvlYv K‡ib| Zvi g‡Z †Kvb e¯‘B wb‡iU e¯‘ Dcv`vb bq| Gi
Kv‡Q wbi‡cÿ welq, hv e¯‘ I bq Avevi gvbwmKZI bq|
wbi‡cÿ GKZ¡ev` ¯Íi
iv‡mj wewfbœ ¯Íi AwZwi³ K‡i wbi‡cÿ GKZ¡ev` DcbxZ
nb| G ¯Íi‡K 2 fv‡M fvM K‡i‡Qb| h_v:
·
AvswkK wbi‡cÿ GKZ¡ev` Ges
·
c~Y© wbi‡cÿ GKZ¡ev`|
AvswkK wbi‡cÿ
iv‡mj Zvi “The problems of philosophy” bvgK
MÖ‡š’ 4wU g~j mËvi ¯^xKvi K‡i| h_v:
·
ÁvZv gb
·
mvgvb¨
·
m¨s‡e‡QvcvË
·
Roe¯‘
wZwb ILv‡bi ÿzi e¨envi K‡i 4wU AcÖ‡qvRbxq mËv
nuvUvB Ki‡Z ïiæ K‡ib| G QvUvB KvR ïiæ nq 1914 mv‡j cÖKvwkZ “Out
knowledge of the External world.” G‡K G‡K wZwb 4wU mËv‡K evwZj K‡ib| c‡i iv‡mj Avevi
wØZvwË¡K gZev‡` DcbxZ nb| G ch©v‡q wZwb Avevi ms‡e‡Qvcv‡Ëi g‡a¨ cv_©K¨ K‡ib|
cieZ©x ch©v‡q iv‡mj “An analysis of mind” bvgK MÖ‡š’ AvswkKfv‡e wbi‡cÿ
GKZ¡ev` cÖKvk K‡ib|
iv‡mj `k©bZ‡Ë¡i †kl ch©v‡q ms‡e`b I ms‡e‡Qvcv‡Ëi
g‡a¨ cv_©K¨ Zz‡j w`‡q m¨s‡e‡QvcvË K_vwU ev` w`‡q ms‡e`b K_vwU e¨envi K‡ib|
iv‡mj Gi g‡Z,
“The whole duality of mind and
matter, according to this theory, is mistake. There is only one kind of stuff
out of which the whole world is made and this stuff is called mental in one
arrangement, physical in other. Ibid p- 140.
iv‡mj Gi g‡Z, KviwYK wbqg 2 cÖKvi| h_v:
·
†fŠwZK
·
gvbwmK
hLb wbi‡cÿ we‡kl¸‡jv ‡fŠwZK KviwYK wbqgvbyhvqx
‡kÖYxe× nq ZLb †h msMVbwU cvIqv hvq †mwU n‡”Q Roe¯‘| Ab¨w`‡K wbi‡cÿ we‡kl¸‡jv
hLb gvbwmK KviwYK wbqgvbyhvqx †kÖbxe× nq ZLb †h msMVbwU cvIqv hvq †mwU nj gb|
ms‡e`b Dfq cÖKvi KviwYK wbq‡gi AvIZvq Av‡m| myZivs ms‡e`b wbi‡cÿ we‡kl| myZivs
ms‡e`b wbi‡cÿ we‡kl|
iv‡mj Avevi 3wU Dcv`v‡bi K_v D‡jøL K‡ib| h_v:
K) ms‡e`b ev wbi‡cÿ
L) cÖwZiƒc ev LuvwU wbi‡cÿ we‡kl Ges
M) ms‡e`¨ ev LuvwU †fŠwZK|
G gZev` †_‡KB iv‡mj cieZ©x‡Z c~Y© wbi‡cÿ GKZ¡ev‡`
DcbxZ nb|
2| c~Y© wbi‡cÿ GKZ¡ev`
iv‡mj 1924 mv‡j wbi‡cÿ GKZ¡ev‡`i DcbxZ nb| wZwb
1927 mv‡j “An analysis of matter Ges An
outline of Philosophy” MÖš’؇q wbi‡cÿ GKZ¡ev` cÖKvk K‡ib|
wZwb ms‡e`b, cÖwZiƒc Ges ms‡e`¨‡K ¯^xKvi K‡i G‡`i
GKwU bvg †`b hvi bvg NUbv ev OF Event| iv‡mj Gi ZË¡`k©b‡K NUbvev` ejv nq| Gfv‡e Zvi `k©b
c~b© wbi‡cÿ GKZ¡ev‡` c~Y©Zv jvf K‡i|
iv‡mj Gi g‡Z, e¯‘ I gb ˆØZ mËv bq| GLv‡b Df‡qi
`ªvweK Aw¯ÍZ¡ †jvc †c‡q‡Q|
ZvB iv‡mj e‡jb-
“An object is the sumototal of
the appear ances presented by it at all places at a given moment.”
iv‡mj Zvi ZË¡`k©‡bi µgweKv‡ki †kl ch©v‡q †`n I gb‡K
wbi‡cÿ we‡kl e‡j K‡i‡Qb| iv‡mj Zvi Rxe‡bi †kl cÂvk eQ‡i wbi‡cÿ GKZ¡ev‡`i `k©b‡K
AvuK‡o a‡iwQ‡jb| G `k©‡bi mv‡_ Zvi wbweo m¤úK© wQj|
iv‡mj Ro I g‡bi cÖK…wZ †hfv‡e we‡kølY K‡i‡Qb Zv‡Z
K‡i Zvi weÁvb gb¯‹Zvq cwiPq cvIqv hvq Ges Zvi mv‡_ Zvi mskqev`x `vk©wbK c×wZI
G‡ÿ‡Î mgwš^Z n‡q‡Q| ˆeÁvwbK I `vk©wbK wePv‡i Zvi ZË¡ ZvB AZ¨šÍ ¸iæZ¡ enb K‡i|
iv‡mj Gi Z‡Ë¡i me‡P‡q eo ¸iæ‡Z¡i w`K n‡”Q, wZwb
mgKvjxb c`v_©we`¨v Ges g‡bvweÁvb GB `yÕwU e¨wZµga©gx wecixZ ‡¯ªvZaviv‡K mgwš^Z
Ki‡Z †P‡q‡Qb| Gme iv‡mj Gi †hŠw³K MVb/ Ro I gb/ wbi‡cÿ GKZ¡ev` m¤úwK© gZev`‡K
`vk©wbK wePv‡i GKwU ¸iæZ¡c~Y© gZev` wn‡m‡e wPwýZ Kiv hvq|
Z_¨m~Î
·
Ave`yj gZxb : we‡klYx
`k©b (Abyev`), XvKv, 1994
·
‡gv. Ave`yj gywnZ : fvlv `k©b, XvKv: Aemi cÖKvkbv ms¯’v,
2012
·
evUªvÛ iv‡mj, `k©‡bi iƒc †iLv, Abyev`: W: Avãyj
gZxb, evsjv GKv‡Wgx, XvKv, wØZxq gy`ªY- 1990|
·
evUªvÛ iv‡m‡ji `k©b RMr Rxeb mgvR: W. †gv. kIKZ
†nv‡mb: cÖ_g cÖKvk- 2015|
·
William James : Writings 1902-1910 :
The Varieties of Religious Experience
0 comments:
Post a Comment